এবার জয় প্রত্যাশিত ছিল, শেষ পর্যন্ত ১২৮ ভোটের ১২৩টি তাবিথ আউয়ালের। চার মেয়াদ আর ১৬ বছর পর ফুটবল ফেডারেশনে নতুন সভাপতি। ১৩৩ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১২৮ জন, তাবিথের প্রতিদ্বন্দ্বী দিনাজপুরের তৃণমূল সংগঠক এ এফ এম মিজানুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ৫টি। অসম লড়াইয়ের দিন দুই প্রার্থীই ছিলেন ভোটকেন্দ্রে!
এদিকে কাজী সালাউদ্দিনের আমলে এর আগে স্বতন্ত্র থেকে ২০১২ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে দু’বার সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হন তাবিথ। ২০২০ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে সহসভাপতি পদে দাঁড়ালেও সেবার মহিউদ্দিন আহমেদ মহির কাছে এক ভোটে হেরে যান তিনি।
গত ১৯৯৮ সাল থেকে ক্রীড়াঙ্গনে নির্বাচনী ব্যবস্থা শুরু হয়। এসএ সুলতান বাফুফের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি। কাজী সালাউদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয়। এই কিংবদন্তি ফুটবলার ৪ মেয়াদে বাফুফের সভাপতি ছিলেন। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। তাবিথ বাফুফের তৃতীয় নির্বাচিত সভাপতি। তবে ভোটের হিসেবে তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নির্বাচনী কংগ্রেস দিয়ে শুরু হয়েছে দিনের কার্যক্রম। বাজেট উত্থাপন হলেও প্রায় ১৪ কোটি টাকা ঘাটতিতে পাস হয়নি। যার দায়িত্ব পড়েছে নতুন কমিটির ওপর। এই কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করে, শেষ আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ করেছেন কাজী সালাউদ্দিন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। যে ৫ জন ভোট দিতে আসেননি, তাদের একজন আলোচিত তরফদার রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম আবাহনীর ডেলিগেট তিনি। প্রার্থীদের চিন্তা-দুশ্চিন্তার দিন নির্ভার ছিলেন ইমরুল হাসান। সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। একমাত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি দিয়েছেন তার ইশতেহার ফুটবল থ্রি সিক্সটি।
চার সহসভাপতির মধ্যে নাসের জাহেদি, ওয়াহিদ হ্যাপি, সাব্বির আরেফ ও ফাহাদ করিম এ পদে সবাই নতুন। হাসি ফোটেনি দুই ফুটবলার সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির ও শফিকুল ইসলাম মানিকের মুখে। ১৫ সদস্য পদে লড়াই হয়েছে ৩৭ প্রার্থীর। দেশজুড়ে পরিবর্তনের ধারায় গণতান্ত্রিকভাবে পরিবর্তন এলো ফুটবল ফেডারেশনের কমিটি। যাদের কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা পাহাড়সম।